Sunday, 28 August 2011

দোস্তরে



দোস্তরে

ইমরান সারকার


কিরে দোস্ত, কেমন আছিস?

আমাদের ভাল নাহয় নাই বাসিস

একটি কল অন্তত কর,

আমাদের কেন ভাবিস এত পর?


দোস্তরে, মনে কি একটুও পরেনা?

দেখতে কি একটুও ইছা হয়না?

একটি ফোঁটা চোঁখের পানিও কি ঝড়েনা?

নাকি আমাদের আর মনে লয়না?


দোস্তরে বিশ্বাস কর-

ওনেক মিস করি,

ভাবিনি কখনো পর,

তোর জন্য শুকিয়ে যায়-

এই মনের রতী


আমরাতো তিনজন দোস্ত,

বড় হয়েছি এক সাথে

তুই নেই ভাবতেই আসে জল,

তোকে ছাড়া দুজন-

থাকি কি করে বল?


দোস্তরে, অনেক ভালবাসি,

যখন তোকে মনে পড়ে,

দুচোখও শ্মরন করে


দোস্তরে, আবেগ দিয়ে বলছি,

আমায় কখনো ঘৃনা করিসনা

পারবোনা সইতে আমি,

শুধু একটু ভালবাসিস,

দূর থেকে মৃদু হাঁসিস,

ভেবে নিবো ভালই আছিস,

এইটাই যে চাওয়া আমাদের


(আমিনা, তুই আমার দোস্ত)

“মা” তোমায় মনে পড়ে



মা তোমায় মনে পড়ে
ইমরান সরকার

আজকের দিনটা-
অন্য দিন থেকে আলাদা
মনটা ফাঁকা ফাঁকা লাগছে
দুচোঁখ দিয়ে পানি গড়াচ্ছে
মা তোমায় খুব মনে পড়ছে

এইতো সেদিন জোঁনাকী-
তার মাকে বলল, জরিয়ে ধরে
মা, তোমায় দেখলাম অনেক দিন পরে

তুমি কি জানো মা-
সে তার মাকে দেখেনি কতো দিন?
মাত্র ১৪ দিন দেখেনি
আর আমি ২১ বছর দেখিনা

আমার কি মা ডাকতে ইচ্ছা হয় না ?
জড়িয়ে ধড়তে ইচ্ছে হয়না ?

আমায় একা রেখে 
কেন চলে গেলে মা ?

আর আশা নেই আমার বুকে,
মা ডাক নেই মুখে,
চোখ ভেজা থাকে জলে
শুধু তুমি নেই বলে

মাগো ইচ্ছা করে জড়িয়ে ধরতে,
ইচ্ছা করে কোলে ঘুমাতে
ইচ্ছা করে মা বলে ডাকতে
শুধু পারিনা নেই বলে

মা তোমায় অনেক দিন দেখিনা
ছুটি পেলে একবার এসো,
পাশে আমার বসো
মাথায় হাত রেখো
শব্দ করে হেঁসো
কপালে চুমু খেয়ো
আর আমি তোমায় শুধু দেখবো

যদি ঈশ্বরকে কোন দিন পাই,
বলব, আমার মাকে আমি ফেরত চাই

যন্ত্রনা



যন্ত্রনা
ইমরান সরকার

তুমি  দেখ একবার এসে
আমি আর হাঁসি না,
কাটছে জীবন দুঃখের
তোমায় মন ভরে ডাকিনা।

তুমি  দেখ একবার এসে
আমার দুঃখে দুঃখিত হয়ে
নদী আগের মত বয়না,
গজায় না নতুন পাতা
পাখিদের গান গাওয়া হয়না।
ফুল আর ফুটেনা
কাউকে ভালো বাসেনা,
আকাশ মেঘাছন্ন থাকে
সূর্য আর হাঁসে না।

তুমি  দেখ একবার এসে
জীবন যেন থেমে আছে,
টীক টীক ঘোরেনা ঘড়ির কাটা
তুমি নেই তাই কাছে।

তুমি  দেখ একবার এসে
আমি নিঃশ্ব বড় নিঃশ্ব,
তুমি পালালে অনেক দূরে
পাইনা তুমায় খুজে,
তাও আছ এই মন জুড়ে।
কারন দেখি তোমায়-
দুচোখ বুঝে।

মা, আমি এখন বড় হয়েছি
জানি তুমি আর আসবেনা,
আমায় ভাল বাসবেনা,
আমায় নিয়ে ভাববেনা
আমি কেমন আছি।
পাড়বনা ঘুমাতে তোমার কোলে
পাড়বনা ডাকতে মা,
প্রান খুলে।

Tuesday, 23 August 2011

মনে পড়ে


মনে পড়ে
ইমরান সরকার

সোঁনালী এই বিকেল বেলা
মনে পড়ে তোমার কথা।
চোঁখে ভাঁসে তোমার ঐ হাঁসি
যাকে আমি খুব ভালবাসি।

মনে পড়ে সেই সোঁনালী বিকেল
এই হাতে রেখেছিলে হাত,
চোঁখে রেখেছিলে চোঁখ
বলেছিলে আমায়-
ভূলবোনা কখনো তোমায়।

মনে পড়ে সেই সোঁনালী বিকেল
যে বিকেলে আমায় দিয়ে ফুল,
দিয়ে হাসি, বলেছিলে ভালবাসি।

মনে পড়ে সেই প্রথম দেখা
কলেজ ক্যানটিনে বসে থাকা
বাঁকা চোঁখে তাকিয়ে থাকা।

কেন তুমি পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলে?
তোমার দু’টি ডানা মেলে
আমায় একা ফেলে।


মাগো


মাগো
ইমরান সরকার

সন্ধার অপেক্ষায় থাকি
তারা উঠবে বলে,
উঠোনে বসে থাকি
তুমায় দেখবো বলে,
খুঁজি, কোন তাঁরাটি তুমি-
আর চোখ ভেঁজা থাকে জলে।

মাগো, কবে যে তোমায় পাব
আর মন ভরে ডাকব-
মাগো, মা, অমা।

মাগো, তোমার পাশে কি-
খালি জায়গা আছে?
এই জীবনে থাকিনি তোমার কাছে,
পরকালে থাকতে চাই তোমার পাশে।

বন্ধু ২



বন্ধু ২
ইমরান সরকার

বন্ধু তুমি কোথায়?
আমায় একা ফেলে
কোথায় চলে গেলে

তোমায় ভূলতে পারিনা
সারাক্ষন মনে পড়ে
আমার মনের ঘরে

জানে আমার এই মন
যায়না ছেড়া বন্ধুত্বের বাঁধন



বন্ধু



বন্ধু
ইমরান সারকার

আমি বসে আছি একা
পাবো বলে তার দেখা,
পাইনি দেখা আজও
হারাইনি তবু আশা
কবে পাব বন্ধুতের ভালবাসা

দেখা দাও বন্ধু একবার এসে
একটু হেঁসো আমার পাশে বসে
কথা দিও আমায় ভালবেসে
কখনো যাবেনা আমায় ভূলে

ভালবাসা যদি যাও ভূলে
খূঁজে নেব তোমায়-
লাল গোলাপ ফুলে

তুমি সুন্দর




তুমি সুন্দর
ইমরান সরকার

তোমার মুখ যেন আঁকাশের চাঁদ
তোমার দিকে শুধু তাকিয়ে থাকি
তাও মেটেনা যে আমার স্বাদ

তোমার বাঁকা দুটি আঁখি
আঁখিতে কাঁজল মাখা
ইচ্ছা হয় শুধু চেয়ে থাকি
না তাকালে মন করে খাঁখাঁ

সারা জীবন থেকো আমার পাশে
আর দেখো এই মানুষটা-
তোমায় কতো ভালোবাসে

তুমি জীবনের প্রথম নারী
তোমায় কি ভূলতে পারি
ভালবাসবে সারা জীবন
সে আশা করি


গুপ্ত প্রনয়



গুপ্ত প্রনয়
ইমরান সরকার

কষ্ট বাহারে নহ
তৃপ্ত বাহারে কহ
আহলাদে রহা,
ভূলিয়া গমনা অম্ম
হেতু নহ ত্বম

ভূলিয়া গমনা অম্মি
চিত্তে নহ বদন দ্বারা
তবত বিকাশ লব্দিত নহ
প্রনয়ি গুপ্তে

নাহি কহিব প্রনয়ি
প্রনয়ো গুপ্তে
থুইব তুমায় চিত্তে

হেতু কহ হর্ষে রহা
চিত্তে নহ বদন দ্বারা
ঈয়াদ গমনা ত্বম
তুমি হর্ষে রহা
অস্মদও হর্ষি ইহাই ধ্বম

দোস্তরে



দোস্তরে
ইমরান সারকার

কিরে দোস্ত, কেমন আছিস?
আমাদের ভাল নাহয় নাই বাসিস
একটি কল অন্তত কর,
আমাদের কেন ভাবিস এত পর?

দোস্তরে, মনে কি একটুও পরেনা?
দেখতে কি একটুও ইছা হয়না?
একটি ফোঁটা চোঁখের পানিও কি ঝড়েনা?
নাকি আমাদের আর মনে লয়না?

দোস্তরে বিশ্বাস কর-
ওনেক মিস করি,
ভাবিনি কখনো পর,
তোর জন্য শুকিয়ে যায়-
এই মনের রতী

আমরাতো তিনজন দোস্ত,
বড় হয়েছি এক সাথে
তুই নেই ভাবতেই আসে জল,
তোকে ছাড়া দুজন-
থাকি কি করে বল?

দোস্তরে, অনেক ভালবাসি,
যখন তোকে মনে পড়ে,
দুচোখও শ্মরন করে

দোস্তরে, আবেগ দিয়ে বলছি,
আমায় কখনো ঘৃনা করিসনা
পারবোনা সইতে আমি,
শুধু একটু ভালবাসিস,
দূর থেকে মৃদু হাঁসিস,
ভেবে নিবো ভালই আছিস,
এইটাই যে চাওয়া আমাদের

(আমিনা, তুই আমার দোস্ত)

মায়ের বিদায়


মায়ের বিদায়
ইমরান সরকার

সাদা কাপড় জড়িয়ে
এক সাগর দঃখ ছড়িয়ে
ঘুমিয়ে গেল মা।

সাদা কাপড়ে শরীর ছিল ঢাকা
নিঃশ্বাস ছিল বন্ধ-
তাইতো থেমে গেল জীবন চাঁকা।

বুঝলাম না আমি কিছুই
কাঁদছে কেন সবাই,
বোন আমার দিকে দৌড়েএল-
আমার কপালে চুমু খেল।
বোন জড়িয়ে আমায়
বলল আমাদের মা ঘুমায়।
মার এই ঘুম ভাঙ্গবেনা
আমাদের আর ডাকবেনা।

বুঝলাম, চিকার করলাম
চোখ ভিঁজে গেল জলে
মা চলে গেল বলে।

অন্য কারো কথা বাদই দিলাম
পৃথিবীতে আমিওতো ছিলাম,
ঈশ্বর আমাকেও নিতে পারত
মা পৃথিবীতে থাকত
তার অন্য সন্তানদের-
সুখে দিন কাটতো।


Monday, 15 August 2011

অভিযোগ













অভিযোগ
ইমরান সারকার

আমরা এখানে অতি ক্ষুদ্র
আমাদের একটু দাঁড়াতে দাও,
আমাদের প্রতি হইওনা ক্রদ্ব
কষ্ট দিয়ে কি শান্তি পাও

তারা সমাজের বড় বড় মানুষ
তারা ডাকেনা তাও যাও
তাদের সর্বদা সঙ্গ দাও
তাদের আছে ভুরি ভুরি
তাও তারা তুষ্ট নয়
আমাদেরটা করে চুরি
তাও থাকেনা কোন ভয়

তুমি থাক তাদের সাথে
পূর্ন কর সব আশা,
সব সম্পদ তাদের হাতে
নেই আমাদের সুখের হাঁসা

তারাতো আমাদেরই মতো
তাও ভরেনা দাও যতো